চট্টগ্রাম: পিচ ঢালা রাস্তা নিজের কালো অবয়ব হারিয়ে লাল-সবুজ-হলুদ কিংবা বেগুনি রঙ ধারণ করেছে। আবিরের রঙে পাল্টে গেছে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধের চেহারা।
রোববার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিল এমনই চিত্র। রঙের ছড়াছড়ি এভাবেই জানান দিয়েছিল হোলি উৎসবের কথা। আর হিন্দু বৈষ্ণবদের হোলি উৎসব হয়ে উঠেছিল নগরবাসীর প্রাণের উৎসবে।
গানের তালে তালে একে অপরের গায়ে রং ছিটিয়ে বিশেষ করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিল নগরীর হাজারী লেইন, পাথরঘাটা জেলেপাড়া, আগ্রাবাদ গোসাইলডাঙ্গা, কাট্টলীসহ বিভিন্ন হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা।
হোলি উৎসবে অংশ নেওয়া নগরীর আনন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কমিশনার জহরলাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, এ উৎসব এখন আর শুধু হিন্দু বৈষ্ণব বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একক অনুষ্ঠান নয়। এটি এখন সার্বজনীন উৎসব।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনি পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবীর ও গুলাল নিয়ে রাধা ও তার সখী গোপীদের নিয়ে রং খেলায় মেতেছিলেন। আর সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌর পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
হোলি উৎসবে নগরীর বিভিন্ন মন্দিরে আয়োজন করা হয় পূজা-পাঠ ও প্রাসাদ বিতরণের। দিনভর রঙের ভিড়ে নিজেকে ও পরমাত্মার সন্ধান করেন ভক্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৪