চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে দু’বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুন এবং ছাত্রলীগের ভাংচুরের ঘটনায় খুলশী থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে নিহত কামরুল ইসলামের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে এস আই রাসেল বাদি হয়ে ভাংচুরের মামলাটি দায়ের করেছেন।
খুলশী থানার সেকেণ্ড অফিসার এস আই মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, সেফটিক ট্যাংক থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার এবং পরবর্তী ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রমতে, আব্দুল হাকিমের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ১৬ মার্চ ভোর ৩টার মধ্যে যে কোন সময়ে কামরুল ইসলাম ও ফোরকান উদ্দিনকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ঢুকিয়ে রাখা হয়।
মামলায় আসামীরা সবাই মাদকসেবী, ছিনতাইকারী এবং ছিঁচকে অপরাধী বলে জানিয়েছেন এস আই মামুনুর রশিদ। এজাহারে রাজনৈতিক পরিচয়ধারী কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
এদিকে লাশ উদ্ধারের সময় নগরীর ষোলশহর দু’নম্বর গেইট এলাকায় যানবাহন ভাংচুর, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদানের ঘটনায় এক’শ থেকে দেড়’শ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে ছাত্রলীগ কর্মীরা বেআইনীভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দু’নম্বর গেইট এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দু’বন্ধু কামরুল ও ফোরকানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা উভয়ই নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
কামরুল ইসলাম এমইএস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর ফোরকান সিইপিজেডে একটি কারখানায় কর্মরত ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফোরকান পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত। পাশাপাশি কামরুল, ফোরকানসহ প্রায় ১৫ জনের একটি গ্রুপ খুলশী ও পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে কামরুল ও ফোরকানকে খুন করা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ঘণ্টা, মার্চ ১৮,২০১৪