চট্টগ্রাম: নির্ধারিত আদালত বিচারকশূন্য থাকায় অস্ত্রোপচারের পর শরীর থেকে নিডল (সূচ) বের করতে ভুলে যাওয়া দু’চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে।
এ নিয়ে সাত দফায় এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল।
বুধবার চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মো.মশিউর রহমান অভিযোগ গঠনের এ সময় নির্ধারণ করেন।
অভিযুক্ত দু’আসামী হলেন, ডা.মো.সুরমান আলী এবং ডা.জাকির হোসেন।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ গঠনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিচারক হচ্ছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম। ওই আদালতে বিচারক নেই। মামলাটি সিএমএম’র কাছে নেয়া হয়েছিল। সিএমএম চিকিৎসকদের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৩০ মে বেসরকারী এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচারের সময় ভেতরে নিডেল রেখে দেন দু’চিকিৎসক। অপারেশনের পর থেকে আমিনুলের শরীরে তীব্র ব্যাথা অনুভব হলে তারা আরও দুদদফা অপারেশনের নামে প্রতারণা করেন।
এরপর ২০১২ সালের বছরের ৩০ জুন ভারতের কোলকাতায় এ্যপোলো হাসপাতালের কনসালটেন্ট রেডিওলজিস্ট ডা.দেবাশীষ দত্ত তার অস্ত্রোপচার করে তার আগের অপারেশনের স্থান থেকে নিডেল বের করেন।
এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি মহানগর হাকিম আদালতে দু’চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ৩২৬, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় আমিনুলের মা দেলোয়ারা বেগম মামলা দায়ের করেন।
গত ৩০ মে পাঁচলাইশ থানার এস আই রহুল আমিন আদালতে দু’চিকিৎসককে আসামী করে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, মার্চে এবং সর্বশেষ এপ্রিলে ছয় দফায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৪