ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রমা’র দুইযুগ পূর্তি উৎসব শুরু

‘কবিতা মানব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ অর্জন’

বিনোদন করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৪
‘কবিতা মানব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ অর্জন’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ঢোল করতাল আর আতশবাজির রঙিন ছটায় প্রাণোচ্ছ্বল আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হলো আবৃত্তি সংগঠন প্রমা’র দুই যুগ পূর্তি উৎসব।
শুক্রবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে তিনদিন ব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।



২৪ বছরের সঞ্চিত সুখ-দুঃখের অভিজ্ঞতা, সংগ্রামের ইতিহাসে কাঁধে কাঁধ রেখে চলা প্রমার সকল সতীর্থরা মিলেমিশে উদ্বোধন ক্ষণকে করে তোলে জীবনমুখর এক আনন্দযজ্ঞে। এসময় পুরো শিল্পকলা প্রাঙ্গনে প্রমার শুভাকাঙ্খী, সংস্কৃতি, শিল্পমনা মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
 

পাখি, ফুল, পুতুলের ফেস্টুন আর প্রমার লোগো নিয়ে পাঞ্জাবী গায়ে ছেলেরা আর গোলাপী শাড়িতে মেয়েরা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে শোভাযাত্রা বের করে। বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় সংস্কৃতি প্রেমিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন যোগ দিয়েছেন।

শোভাযাত্রা শেষে ঢোলের তালে তালে, হাতে হাত ধরে প্রমার সব বয়সের সদস্যরা নেচে গেয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায  ড. অনুপম সেন বলেন, কবিতা মানব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ অর্জন। যুগে যুগে নিপীড়ন, নির্যাতন, সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে মানুষকে শক্তি যুগিয়েছে কবিতা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রমা মানুষের কথা বলে, মানবতার কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। তাই বিশ্বাস করি জাতি বিপথে গেলে উদ্ধারের জন্য প্রমার সাহসী সংগঠকদের খুঁজে নিতে পারবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার বলেন, সংস্কৃতি চর্চা এমন একটা মাধ্যম যা মানুষকে মুক্তির পথ দেখায়। আশা করি প্রমার সকল সদস্য তাদের আবৃত্তির মাধ্যমে সবার জন্য সুন্দর ‍পৃথিবী গড়ে তুলবে।  

স্বাগত বক্তব্য দেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের  সহ-সভাপতি কংকন দাশ। উদ্বোধনের পর আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন প্রমার সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দেশের বরেণ্য কবি হেলাল হাফিজ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক  আহকাম উল্লাহ, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, কবি মানজুর মুহাম্মদ, এন জি এস গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসিত কুমার সাহা, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী  লায়লা আফরোজ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোলাম সারোয়ার, বেলায়েত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী পর্বের ২য় অংশে ৬টি বিভাগের ১৪টি জেলার আবৃত্তিশিল্পীর সম্মেলন, বৃন্দ ও একক আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। ঢাকা-চট্টগ্রামের আবৃত্তি শিল্পীরা ছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, খাগড়াছড়ি, ময়মনসিংহ জেলার আবৃত্তি শিল্পীরা।

বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, নরেন আবৃত্তি একাডেমি, স্বরনন্দন প্রমিত বাঙলা চর্চা কেন্দ্র, বিভাস আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জেরিন মিলি, মোহিত বিশ্বাস, মঞ্জুর মুন্না, রুনা চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়:২০১০ ঘন্টা,নভেম্বর ২৮,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।