ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জাতিকে মেধাশূণ্য করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪
‘জাতিকে মেধাশূণ্য করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবি হত্যা করে সরকার জাতিকে মেধা শূণ্য করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার ৭১’এর পাক-হানাদার বাহিনীর মত র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক ও পেশাজীবিদের নির্বিচারে গুম ও হত্যা করে জাতিকে মেধা শূন্য করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।



রোববার সকালে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে নগর যুবদল থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।


নোমান বলেন, ৭১’সালে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পাক-বাহিনী রাতের আধারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করেও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে প্রলম্বিত করতে পারেনি। শেখ হাসিনাও গুম, হত্যা ও নির্যাতন করে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে পারবে না। রাজপথের চলমান আন্দোলনে জনগণের বিজয় অতি সন্নিকটে।

দেশে বর্তমানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে মন্তব্য করে নোমান বলেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, চৌধুরী আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম, নারায়নগঞ্জের ১১জনসহ সরকার জাতির মেধাবী সন্তানদেরকে হত্যা করে নিজেদের অপকর্ম আড়ালের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে।

পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের কালো দিবস হিসেবে পালন করবে।

বুদ্ধিজীবি দিবসে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পূনরুদ্ধারে নতুন করে ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার চেষ্টা করেছিল। বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে ততদিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের  আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে যাব।

নগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মোহাম্মদ ইনাম উল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, বিএমএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডাক্তার কামরুন্নাহার দস্তগীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়:১৬৫৯ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।