চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র তাপস সরকার হত্যার ঘটনায় আবারো প্রক্টরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।
সংবাদ সম্মেলনকারী অংশের নেতাকর্মীরা বগিভিত্তিক সংগঠন চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপ হিসেবে পরিচিত।
সিএফসির অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তাপসের খুনীদের গ্রেপ্তার করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও শিক্ষা সনদ বাতিল, তাপসের পরিবারের দুই সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি এবং নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি অমিত কুমার বসু।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে একটি মাফিয়া চক্র ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। যে কারণে ঘটনার চারদিন অতিক্রম হলেও এ ঘটনার মূল হোতা আশরাফুজ্জামান আশা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লার পক্ষপাতিত্বকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে তার অপসাণ দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন জুয়েল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন, সিএফসি নেতা ওমর ফারুক, রেজাউল হক রুবেল, কিশোর দাশ, সাইফুল ইসলাম রাসেল, ইকবাল হোছাইন, কাইছার ফেরদৌস ফুয়াদ, আরমান হাবীব, নিলয় সেনগুপ্ত ও মিঠুন চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে তাপস সরকার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে এবং মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগকে হস্তান্তর করতে দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেস।
তাপস সরকার হত্যাকাণ্ডের জন্য এ গ্রুপটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান আশাও এই গ্রুপের নেতা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল হলে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের আর্দশে বিশ্বাসী। যারা প্রকৃত ছাত্রলীগ করে তাদেরকে ক্যাম্পাসকে থেকে বিতাড়িত করতে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। অমিত কুমার বসু,সুমন মামুন,শাহাদাত হোসেন জুয়েল ও রাকিব হোসেনর ছাত্রত্ব নেই। তারা টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও নিয়োগ ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের জন্য তাপসকে নিজেরা হত্যা করে ভিএক্সের কর্মীদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীলতার জন্য হাটহাজারী থানার ওসি মো.ইসমাইলকে দায়ী করে তাদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
“তিনি এর আগে সাতকানিয়ায় জামাত শিবিরের সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ ধ্বংসে লিপ্ত হয়েছিল। তার অপসারণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ”
বিবৃতিতে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আরিফুল ইসলাম ও উপ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সরোয়ার পারভেজ জনির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮,২০১৪