চট্টগ্রাম: নগরীর নয়টি সরকারি স্কুলে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে একযোগে প্রথম ধাপের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. দৌলতুজ্জমান খান বাংলানিউজকে জানান, সকাল ১০টা থেকে নির্বিঘ্নভাবে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রতি কেন্দ্রে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলগুলোতে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৭৪টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন পড়েছে সাড়ে ২১ হাজার ৩৬৯টি। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছে ৬ জন করে শিক্ষার্থী।
এবার সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে পঞ্চম শ্রেণীতে। এ ক্লাসে ৯ হাজার ৩৪৬ জন ভর্তিচ্ছু প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। নয় স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৯৬০।
পঞ্চম শ্রেণি ভর্তিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি উপ-কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী শাহ ওয়ালী উল্লাহ ইনস্টিটিউিট স্কুলের এই উপ-কেন্দ্রে আসন পড়েছে ৫২৮ পরীক্ষার্থীর।
এবার সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হবে ষষ্ঠ শ্রেণি ভর্তিতে। ষষ্ঠ শ্রেণির মোট ৬৪৭টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭ হাজার ৯৩৮টি। এ শ্রেণিতে আসন প্রতি প্রতিযোগী ১২জন।
এছাড়া, সপ্তম শ্রেণির মোট ১৮৩ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ হাজার ২৪৯ টি, অষ্টম শ্রেণির ১২৯ আসনের বিপরীতে ১ হাজার ২১০টি এবং নবম শ্রেণির ৬৫৫টি আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৬২৩টি আবেদন পড়েছে।
নবম শ্রেণির ভর্তিতে কোন পরীক্ষা নেয়া হবে না। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দৈনিক পত্রিকা, ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রকাশ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. দৌলতুজ্জমান খান বলেন, একই শ্রেণিতে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলাফলে প্রাপ্ত মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের স্কুল নির্ধারণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৪