চট্টগ্রাম: ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনার ছবি তুলে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ার। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনের ছবি জমা দিয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেন সোহেল সরওয়ার।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারি হাইকমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সোহেল সরওয়ারের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন সহকারি হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার।
সম্মাননা তুলে দেয়ার সময় সহকারি হাইকমিশনার সোহেল সরওয়ারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দিল্লি জামে মসজিদ ও তাজমহলের ছবি দেখে অভিভূত হন।
২০১২ সালে ভারত বাংলাদেশ থেকে যুব প্রতিনিধি দল সফরে নেয়া শুরু করে। গত তিন বছরে তিন’শ যুব প্রতিনিধি ভারত সফর করেন।
২০১৩ সালে যুব প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে ভারত যান সোহেল সরওয়ার। সেখানে দিল্লি জামে মসজিদ, আগ্রার তাজমহল, আগ্রাফোর্ট, হুমায়নের সমাধিস্থল, মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল, কুতুব মিনার, টিপু সুলতান প্যালেস, কর্ণাটক রাজ্যের বিধানসভাসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনার ছবি তুলেন। পরে ভারতীয় হাইকমিশন ফটো কনটেস্টের আয়োজন করলে তাতে অংশ নেন সোহেল সরওয়ার।
একইসঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিকা ইসলাম তরী। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনতাসির আলম। সান্ত্বনা পুরস্কার পেয়েছেন আরাফাত করিম।
পুরস্কার পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সোহেল সরওয়ার বলেন, পুরস্কার পাওয়ার জন্য ছবি তুলিনি। ভারতের ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন দেখে আমি নিজেই বিমোহিত হয়েছিলাম। এসব স্থাপনার আলোকচিত্র সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আমি ছবি তুলেছিলাম। ভারতীয় হাইকমিশন পুরস্কার দেয়ার মধ্য দিয়ে আমার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ স্বীকৃতি আমার কাজের প্রেরণাকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের আবু বক্কর ও তাহেরা বেগমের প্রথম সন্তান সোহেল সরওয়ার। ৩০ বছর বয়সী সোহেল ২০১০ সালে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় আলোকচিত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলানিউজে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪