চট্টগ্রাম: চিহ্নিত একটি মাদক স্পটে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কামান দাগানো অভিযান। নগর পুলিশের কমপক্ষে ৪৫ ‘বড়কর্তা’ ছিলেন অভিযানকারী দলের বহরে।
শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নগরীর রেলস্টেশন, স্টেশন কলোনি এবং শুভপুর বাসস্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকায় চলে এ অভিযান।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযানে সিএমপি’র চার জোনের চারজন উপ কমিশনার (ডিসি), নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি), পাঁচজন অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি), ১৫ জন সহকারি কমিশনার এবং ১৬ থানার ১৬ জন ওসি অংশ নেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রায় দু’শ পুলিশ সদস্য।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়নি এটা সত্য। তবে আমরা মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারিদের ম্যাসেজ দিতে পেরেছি যে, এই স্পটে আর মাদক ব্যবসা চলবে না। যে কোন মূল্যে বিশাল এই মাদক আস্তানাকে আমরা ধ্বংস করবই।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অভিযানে তিনজন মাদকসেবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সদরঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযানে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে সদরঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনজনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন সিএমপি কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল। ১৬ থানার ওসি, ডিসি, এডিসি, এসি এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
বৈঠকে সিএমপি কমিশনার বারবার অভিযান চালানোর পরও চিহ্নিত স্পটটিতে মাদক বিক্রি বন্ধ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মাদকস্পট সংশ্লিষ্ট তিন থানা কোতয়ালি, ডবলমুরিং ও সদরঘাট থানার উপর দায়িত্বে অবহেলারও অভিযোগ আনা হয়।
এরপর সিএমপি কমিশনার শনিবার দুপুরের মধ্যে মাদক স্পটটিতে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। বৈঠকে উপস্থিত সব কর্মকর্তাদের অভিযানে অংশ নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। ওই বৈঠক থেকে বের হয়েই অভিযানে যান পুলিশ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭,২০১৪