চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর পাশে আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়ায় রেলপথমন্ত্রী এম মুজিবুল হককে অভিনন্দন এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ।
একইসঙ্গে দাতা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহে সরকারকে আরও জোরালো এবং কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি জানিয়েছে পরিষদ।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন পরিষদের সংগঠকরা।
বিবৃতিতে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠকরা বলেন, কর্ণফুলী নদীর উপর বোয়ালখালী-কালুরঘাট অংশে নতুন দ্বিমুখী সেতু নির্মাণের দাবিতে আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি।
চীন সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন। এরপর রোববার চট্টগ্রামে রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা এসেছে। এ সংবাদ পরিষদের সংগঠকসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণকে আশান্বিত করেছে।
বিবৃতিতে সংগঠকরা বলেন, এখন সেতু নির্মাণের জন্য দাতা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকলে জনগণ আশাহত হবে। যত দ্রুত সম্ভব অর্থের সংস্থান করে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা এখন সময়ের দাবি।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের বিশ্বাস, বর্তমান সরকারের আমলেই এই সেতু নির্মাণ হবে। কিন্তু বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকলে চরম হতাশা জন্ম নেবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠীকে হতাশার দিকে ঠেলে দেয়া উচিৎ হবেনা।
বিবৃতিতে পরিষদের নেতারা বলেন, আমরা অচিরেই সেতুর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করছি।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন, বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম, সদস্য সচিব রমেন দাশগুপ্ত, সিনিয়র সদস্য মো.আব্দুল মান্নান ও সিরাজুল হক বাদশা, যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট উজ্বল সরকার, আলমগীর মোরশেদ বাবু ও সেলিম চৌধুরী এবং সমন্বয়ক উত্তম সেন গুপ্ত, সৈয়দ সোহেল উদ্দীন, এম এ তাহের টুটুল, খন্দকার সালেক ও তৌফিক আল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪