চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রংপুরের আলবদর কমাণ্ডার এটিএম আজহারকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়ায় চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য সচিব ডা.চন্দন দাশ ও সমনবয়কারী শরীফ চৌহানের নেতৃত্বে নগরীর চেরাগির মোড় থেকে মিছিল বের হয়।
মিছিলটি আন্দরকিল্লা, জামালখান, মোমিনরোড, প্রেসক্লাব হয়ে আবারও চেরাগির মোড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, আবৃত্তিকার পঞ্চানন চৌধুরী, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সহ সভাপতি সুনীল ধর, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, শিক্ষিকা সালমা জাহান মিলি, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তরুণ উদ্যোগের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রীতম দাশ ও রুবেল দাশ প্রিন্স, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শিমুল বৈঞ্চব, জেলা ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম নন্দী অংশ নেন।
মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকরা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াত ইসলামীর বিচার করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ লক্ষ্যে আইন প্রণয়ণ করে জামায়াতকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
তারা বলেন, আপিল বিভাগ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। এ রায় সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালে যেসব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় হয়েছে অবশিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে এ রায় দ্রুত কার্যকরের উদ্যোগ নিতে হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জোরপূর্বক আটকে রাখা, নির্যাতন ও লুটপাটের পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর এই কমান্ডারের মামলার রায়ে তাকে সর্বোচ্চ এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫, ডিসেম্বর ৩০,২০১৪