চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীকে গণধর্ষণের অপরাধে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার চট্টগ্রামের প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত আসামীরা হল, বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ জলদি গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে মো.শফি আলম প্রকাশ শফি, মৃত আহমদ আলীর ছেলে মো.কালু এবং কবির আহমেদের ছেলে মো.আবুল হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জেসমিনা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় আদালত তাদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার নারীর বাড়ি বাঁশখালীর দক্ষিণ জলদি গ্রামে। তিনি উপজেলায় ব্র্যাকের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ জুন বাঁশখালীর দক্ষিণ জলদি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। ওই নারীর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই নারীও অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
এসময় বাড়ির উত্তর পাশে আগে থেকে অবস্থান নেয়া তিন বখাটে তাকে একা পেয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে ২০০৫ সালের ১৪ জুন বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ২১ আগস্ট আদালতে তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ৫ জুন আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযোগে সাক্ষী হিসেবে রাখা ১১ জনের মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের অর্থদণ্ডের টাকা জেলা কালেক্টরকে সংগ্রহ করে ভিকটিমকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা আসামি শফিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার তাকে আবারও কারাগারে নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫,২০১৫
