ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘পাঁচ জানুয়ারি খালেদার রাজনৈতিক মৃত্যুদিবস’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৫
‘পাঁচ জানুয়ারি খালেদার রাজনৈতিক মৃত্যুদিবস’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পাঁচ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মৃত্যুদিবস বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা।

সোমবার বিকেলে নগরীর লালদিঘি ময়দানে ‘মহাজোট সরকারের বর্ষপূর্তি ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব এক সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে এ মন্তব্য এসেছে।



সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত মিলে রাজপথে সন্ত্রাস করছে। নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
আমরা এখনও ধৈর্য ধারণ করে আছি।

তিনি বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হুংকার ছাড়ছেন। আমরা এখনও সহ্য করছি। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আম‍াদের মাঠে নেমে আপনাদের প্রতিরোধ করতে বাধ্য করবেন না।

সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বিএনপি পাঁচ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। পাঁচ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস নয়, খালেদা জিয়ার স্বপ্ন হত্যা দিবস। পাঁচ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মৃত্যুদিবস।

সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, যারা দেশে আবারও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করতে চায়, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়, রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে চায়, তাদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব।

সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, উপ-দপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারি বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে বিকেল টা ২৫ মিনিটে লালদিঘি ময়দান থেকে র‌্যালি কোতয়ালি হয়ে নিউমার্কেটের দিকে এগিয়ে যায়। ট্রাকে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে আ জ ম নাছির উদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, র‌্যালি লালদিঘি থেকে নিউমার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, তিন পুলের মাথা, এনায়েত বাজার ঘুরে নন্দনকানন, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা হয়ে পুনরায় লালদিঘিতে গিয়ে শেষ হবে।

তবে র‌্যালিটি নিউমার্কেট ঘুরে আমতল এলাকায় আসার পর দায়িত্বরত পুলিশ সেটি আটকে দেয়। পুলিশ এনায়েত বাজারে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের র‌্যালির রুট পরিবর্তনে বাধ্য করে। পরে র‌্যালিটি রাইফেল ক্লাব, শহীদ মিনার হয়ে আবারও লালদিঘিতে গিয়ে শেষ হয়।

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের অনুরোধে আমরা এনায়েত বাজারে না গিয়ে আমতল থেকে র‌্যালি ঘুরিয়ে দিয়েছি। এনায়েত বাজারে গিয়ে কোন ধরনের সংঘর্ষে জড়ানোর মত চিন্তা আমাদের ছিলনা।

বিশাল ও বর্ণাঢ্য এ র‌্যালিতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল করে এসে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করা এ র‌্যালি রাজপথ কাঁপানো বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে।

র‌্যালির অগ্রভাগে ছিল অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল। এরপর একটি ট্রাকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজনসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন।

ট্রাকে সাউন্ডবক্সে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ বাজানো হয়। ব্যান্ডের তালে তালে বাজছিল দেশাত্মবোধক গানও। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে ছিল লাঠি।

ট্রাকে ব্যানারে লেখা ছিল ‘মহাজোট সরকারের বর্ষপূর্তি ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে র‌্যালি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫,২০১৫

** ‘সাহস থাকলে সামনে আয়, আ’লীগ লড়তে চায়’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad