ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘পাকিস্তানের খালেদা, পাকিস্তানে ফেরত যা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৬
‘পাকিস্তানের খালেদা, পাকিস্তানে ফেরত যা’ ছবি: সোহেল সরওয়ার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের বর্ষপূর্তিতে গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা।   একইসঙ্গে প্রতিবিপ্লবী শক্তিকে আর মাথা তুলতে না দেয়ার অঙ্গীকারও করেছেন তারা।

  সমাবেশে স্লোগান উঠে, ‘পাকিস্তানের খালেদা, পাকিস্তানে ফেরত যা। ’

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।


সমাবেশে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা গণতন্ত্র এনেছি।   যে কোন মূল্যে আমরা গণতন্ত্র রক্ষা করব।   আপনারা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করুন।   শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন আবোলতাবোল বকছেন।   ক্ষমতায় থাকতে তিনি অনেক পাপ করেছেন।   তার পাপ মোচন এখনও শেষ হয়নি।   তিনি জঙ্গিবাদকে উসকে দিচ্ছেন।   অন্যায়ের একটা সীমা আছে।   আমরা কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।

‘একাত্তরে বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব হয়েছিল।   প্রতিবিপ্লবীরা ক্ষমতায় এসে দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল।   জঙ্গবাদিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করেছিল।   শিক্ষক থেকে পিয়ন, দারোয়ান পর্যন্ত নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়ে একেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জঙ্গিবাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। ’ বলেন মহিউদ্দিন।

একই সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন।   পাকিস্তানি মানসিকতা থেকে তিনি এই বিতর্ক তুলতে চাচ্ছেন।   তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও পাকিস্তানি ধ্যানধারণায় দেশ পরিচালনা করেছিলেন।   পাকিস্তানের মত উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন।

‘খালেদা জিয়া নিজে ক্ষমতায় থাকতে গণতান্ত্রিক ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেননি।   আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসায় থাকতে পারত না, তাদের ব্যবসাবাণিজ্য করতে দেয়া হয়নি।   সব ব্যবসা বিএনপির নেতাকর্মীরা একাই করত। ’ বলেন মেয়র।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের আঁতাত আছে।   তিনি আরেকটি পঁচাত্তর সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যেতে চান।

সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন না বলেই তিনি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করছেন।   তিনি আসলে মনেপ্রাণে পাকিস্তানকে ধারণ করেন।   পাকিস্তানি ধ্যানধারণা নিয়েই তিনি রাজনীতি করেন।

এসময় সুজন স্লোগান ধরেন, ‘পাকিস্তানের খালেদা, পাকিস্তানে ফেরত যা। ’ মুর্হুুমুহু স্লোগানে এসময় মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশস্থল।

মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর।

সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন।

সমাবেশ উপলক্ষে শহীদ মিনারের চারপাশ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।   নগর পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার পাশাপাশি আট থানার ওসিকে সমাবেশের  নিরাপত্তার দায়িত্বে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
আরডিজি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সর্বশেষ