ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এস আলম গ্রুপ দিয়েছিল ৫ কোটি টাকা

প্রিমিয়ারে অফিস করবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৬
প্রিমিয়ারে অফিস করবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

চট্টগ্রাম: বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা ও হস্তক্ষেপের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বহাল রেখেছেন। বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিলের (সিপি নম্বর ৩৭৪৯/২০১৫) শুনানি শেষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে হাইকোর্ট বিভাগে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে দেওয়া আদেশ (রুল, অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ও স্থিতাবস্থা) বহাল রাখা হয়।

এর ফলে পুনরায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চসিক। শিগগির প্রিমিয়ারে অফিস করবেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।


বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবীরা। তারা জানান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তহবিল গঠনের জন্য ৫ কোটি টাকা চসিক দিয়েছিল দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে প্রদর্শিত ব্যাংকের দলিলপত্রে প্রমাণ হয়েছে এস আলম গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ওই টাকা ধার হিসেবে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছিল।

সূত্র জানায়, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন (নম্বর ১২৮৯২/২০১৫) দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১০ ডিসেম্বর রুল, চসিকের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ও স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৫ ডিসেম্বর চসিক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজের আদালতে আবেদন করেন যা বহাল রেখে চেম্বার জজ, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ দেন। এরপর চসিক আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল (সিপি নম্বর ৩৭৪৯/২০১৫) দাখিল করেন।  

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানিতে চসিকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি এবং এমএ হান্নান। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও আমিন উদ্দিন। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট মানজুর মতিন, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের ফলে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি এখন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। শিগগির এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রিমিয়ারে অফিস শুরু করবেন। এ বিদ্যাপীঠের শুরুর দিকে যারা ছিলেন তারা বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়েই আগামী দিনে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হবে। প্রিমিয়ারের শুরুতে ছিলেন মরহুম ড. আবু ইউসুফ আলম ও প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম, ড. আবদুল মান্নান, আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. অনুপম সেন, সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল ইসলাম প্রমুখ। প্রাথমিক অর্থ সহায়তাকারী হিসেবে এস আলম গ্রুপেরও আইনগত অধিকার রয়েছে।

এস আলম গ্রুপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ব্যরিস্টার মহিবুল বলেন, এ বিষয়টি হয়তো বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে চসিক কর্মকর্তারা জানাতে পারেননি। কারণ প্রিমিয়ারের শুরুর দিকে যেসব কর্মকর্তা চসিকে কর্মরত ছিলেন তারা এখন আর নেই। এ কারণেই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
এআর/টিসি

** প্রিমিয়ারের কর্তৃত্ব নিয়ে এবার চ্যালেঞ্জের মুখে চসিক
** প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব হারাচ্ছেন মহিউদ্দিন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।