চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথধাম পবিত্র তীর্থস্থানই নয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরও দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
শনিবার চন্দ্রনাথধামের সিঁড়ি-সোপান নির্মাণ ও সংস্কার কাজ এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যমণ্ডিত মন্দিরাদির উন্নয়নসহ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী অবকাঠামোগত উন্নয়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথধামে প্রতিবছর লাখ লাখ তীর্থ যাত্রী ও পর্যটক আসেন। কিন্তু বিশাল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত পর্যটনের পরিবেশ না থাকায় তা এগিয়ে যাচ্ছে না।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রনাথধামের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ এবং সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটির প্রশাসক মো. নুরুল হুদা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দিদারুল আলম এমপি, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মো. মনজুর আলম, খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক চট্টগ্রাম রেঞ্জের মো. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য প্রমুখ।
স্রাইন কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুখময় চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট সাধনময় ভট্টাচার্য।
সুখময় চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, স্থপতি সোহেল শাকুরের নকশায় ১ হাজার ৮০০ ফুট উঁচু চন্দ্রনাথধামে উঠার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার সিঁড়ি নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সাবেক মেয়র মনজুর আলম ১০০টি সিঁড়ি নির্মাণের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১০টি সিঁড়ির পর পর পুণ্যার্থীদের বসার ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু সব ধর্মের মানুষ এখানে আসছেন তাই আশপাশে পর্যাপ্ত নিরামিষ ও আমিষ খাবারের স্টল, কটেজ, রিসোর্ট থাকবে। চন্দ্রনাথধাম জুড়ে ১৭টি ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে।
আপাতত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে। সব শেষে ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। তখন ব্যয় আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
এআর/টিসি