চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র (সিটিভি) স্বতন্ত্র চ্যানেল হিসেবে ৬ ঘণ্টা সম্প্রচারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা একটি ‘দালাল সিন্ডিকেট’ চায় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রেসক্লাবে ‘সম্মিলিত শিল্পী সমাজ-বেতার ও টেলিভিশন’র ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবিও তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শিল্পী, চিত্রশিল্পী, গীতিকার ও সুরকাররা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চিত্রনায়ক পঙ্কজ বৈদ্য সুজন ও নজরুল গীতি শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ কেন্দ্রটি নানা প্রকার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। মানহীন আর একঘেয়েমি অনুষ্ঠান নিমার্ণের কারণে এ কেন্দ্রের অনুষ্ঠান থেকে বেশিরভাগ দর্শক-শ্রোতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিছু অসাধু কর্মকর্তা আর এক শ্রেণির দালাল কর্তৃক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল এ কেন্দ্রটি। অসাধু আর দালালদের ক্ষমতা এত বেশি ছিল, যেখানে শিল্পীরা ছিল অসহায়। ’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কেন্দ্রটি স্বতন্ত্র চ্যানেল হিসেবে ৬ ঘণ্টা সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়ায় চট্টগ্রামের শিল্পীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত যেন বাস্তবে প্রতিফলিত না হয়, সেজন্য একটি অসাধু মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ’
তিন মাস আগে টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে জাঁ নেসার ওসমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টিভি কেন্দ্রের দুর্নীতি এখন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। কিন্তু হতাশার বিষয় এখনও এ কেন্দ্রে কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়ে গেছে, যারা দালাল চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাধারণ শিল্পীদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই ৬ ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ঘোর বিরোধী। এদের চিহ্নিত করা সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা চার দফা দাবি হলো, ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শিল্পীদের সম্মানী দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি অডিশনের আয়োজন করা, অডিও স্টুডিও স্থাপন করা, অতীতে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী গীতিকার ফরিদ বঙ্গবাসী। এছাড়া টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকারদের মধ্যে ফাহমিদা ইসলাম, দীপেন চৌধুরী, আলমগীর আলাউদ্দিন, ফজলুল কবির চৌধুরী, মুন্না ফারুক, আনজুমান আরা, অনামিকা তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি