ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিকের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরি মাইলফলক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
চসিকের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরি মাইলফলক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন

বছরে ১০টি করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি তৈরির যে উদ্যোগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নিয়েছে তা দেশের জন্য মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন।

চট্টগ্রাম: বছরে ১০টি করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি তৈরির যে উদ্যোগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নিয়েছে তা দেশের জন্য মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

  এবার ১১ বীরঙ্গনাসহ ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিচ্ছে চসিক।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার, রাশিয়ার কনসাল জেনারেল মি. ওলেগ পি বয়কো, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক মিয়া, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবিহা মুসা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত প্রমুখ।

মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার উপজেলা পর্যায়ে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ১৩৫টি বাড়ি তৈরি করছে। নগরীতে চসিক যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অন্য সিটি করপোরেশন অনুকরণ করতে পারে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে গবেষণার সময়, সংবাদ প্রকাশের সময় সতর্ক থাকতে হবে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছে। বাসস্থান নির্মাণ করে দিচ্ছে। চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের চাওয়া লাগে না। তিনি স্বউদ্যোগে দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান তা নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা রিকশা চালান, না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, এ ধরনের খবর দেখি পত্রিকায়।   বাস্তবে আমরা এরকম খুঁজে পাই না। সরকারের অর্জন নস্যাৎ করার জন্য এসব নিউজ ছাপা হয়। আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম পাওয়ার জন্য নয়। আমরা পেয়েছি। আরও পেতে চাই। কিন্তু সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নয়।

ডা. মাহফুজুর রহমানের শহীদ পরিবারের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। এ সময় সামনের সারিতে বসা বীর মুক্তিযোদ্ধারা ডা. মাহফুজের বক্তব্য 'মিথ্যা কথা' বলে প্রতিবাদ জানান।

জেলা কমান্ডার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে মেয়রের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডায়ালাইসিস ও দূরারোগ্য ব্যাধির ওষুধপত্র কেনার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হোসেন। বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। সঞ্চালনায় ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব মনজুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি সমৃদ্ধ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।