চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম জাহাঙ্গীর জামায়াতের উত্তরসূরী দাবি করে তার অপসারণ চেয়েছেন মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৌমেন দাশ জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু।
মানববন্ধন শেষে চমেক অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছাত্রলীগের এই দুই শাখা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম জাহাঙ্গীরের ইন্ধনেই দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অপকর্মসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ’
বক্তরা বলেন, ‘চমেক অধ্যক্ষ জামায়াতের উত্তরসূরী। তার সাথে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী কুচক্রী মহলের যোগাযোগ রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে তাকে অপসারণ করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অন্যথায় তাকে আন্দোলনের মাধ্যমে নগর ছাড়া করা হবে। ’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত কচি, সহ-সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমন বড়ুয়া, নগর ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম লিটন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ সজল, নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহুল দাশ ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
জেইউ/আইএসএ/টিসি