চট্টগ্রাম: বিপি শিট ঘোষণা দিয়ে দুটি চালানে চট্টগ্রাম বন্দরে ২২ কন্টেইনার মাটি নিয়ে এসেছে ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সোমবার রাতে খালাসের আগে চালান দুটির বিপরীতে আসা কন্টেইনারগুলো আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
প্রত্যেকটি কন্টেইনার কায়িক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা। এআইআর শাখার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, দুটি চালানে চায়না থেকে ২২ কন্টেইনারে করে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫ কেজি বিপি শিট আমদানির ঘোষণা দেয় ঢাকার ক্যাপ ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারকের পক্ষে গত ২১ ডিসেম্বর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইউক সারভিসেস লিমিটেড। সোমবার খালাস করতে গিয়ে একটি চালানের ১৩ কন্টেইনারে একটি করে বিপি শিট কয়েল থাকলেও বাকিগুলোতে মাটি পাওয়া গেছে। অপর একটি চালানের ৯ কন্টেইনারের মধ্যে একটি বিপি শিট পাওয়া গেলেও বাকিগুলো মাটি পাওয়া গেছে। তবে মাটিগুলো বিপি শিটের কয়েলের মতো করে রাখা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করে মানি লন্ডারিং করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় শিপিং এজেন্ট পিল বাংলাদেশ লিমিটেড জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তারা। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য এনে ১ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৫ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এমইউ/টিসি