চট্টগ্রাম: অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারককে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহারে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে আইনজীবী সমিতি। অন্যথায় আদালত বর্জন কর্মসূচিতে যাবার ঘোষণা দিয়েছে সমিতি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে আইনজীবী সমিতির সভায় নেয়া এই সিদ্ধান্ত সন্ধ্যায় ফ্যাক্সযোগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কাছে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই বিচারক হলেন চট্টগ্রামের প্রথম ও দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রফিকুল ইসলাম ও মো.সেলিম মিয়া।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন চৌধুরী।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহেদ বীরু বাংলানিউজকে বলেন, দুই বিচারক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আসামিদের জামিন দেন। আবার কখনও কখনও জামিন পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। দুর্নীতির মাধ্যমে আসামিদের মামলা থেকে খালাস দেন।
‘আমরা দুই বিচারককে সাতদিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। অন্যথায় আমরা তাদের আদালত বর্জন করে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। ’ বলেন বীরু।
দুই বিচারকের বিরুদ্ধে গত ছয় মাস ধরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছে জেলা আইনজীবী সমিতি। গত ৭ আগস্ট আইনমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে তাদের চট্টগ্রাম থেকে বদলির অনুরোধ করেন।
২১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসার পর সার্কিট হাউজে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা। সেখানে বিচারপতির কাছে দুই বিচারককে বদলির দাবি করা হয়।
৩০ নভেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক ভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অবিলম্বে দুই বিচারককে বদলির বিষয়ে আশ্বাস দেন।
সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর নেয়া সমিতির সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রত্যাহার বিলম্বিত হতে থাকায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের অভিযোগ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। বর্তমানে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
আরডিজি/টিসি