চট্টগ্রাম: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবছর পিইসিতে পাসের হার ৯৭ দশকি ৫২ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৯৫৩ জন।
সেই হিসেবে এবছর পাসের বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৬৮১ জন।
জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের কারণে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে পাসের হার বেড়েছে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা পরিবার থেকে সৃজনশীল বিষয়ে খুব একটা জানতে পারে না। তাই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের সৃজনশীল বিষয়ে আরও অধিকতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে, এবছর ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিও প্রাপ্তি দুটোই বেড়েছে। এবছর ইবতেদায়ীতে পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭২ জন। গতবছর পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৬৩ ও জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৯০ জন।
সেই হিসেবে ইবতেদায়ীতে এবছর পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ বেড়েছে ৮২ জন।
এবছর চট্টগ্রাম জেলার ২০ শিক্ষা থানায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৯৫৩ জন, জিপিএ-এ গ্রেড ৪২ হাজার ৩৪৬ জন, জিপিএ-এ (মাইনাস) ৩১ হাজার ১৫৫ জন, জিপিএ-বি গ্রেড ২৯ হাজার ৯৪৩ জন, জিপিএ-সি গ্রেড ৩১ হাজার ৪২২ জন এবং জিপিএ-ডি গ্রেড পেয়েছে ৫ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে, এবছর ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২২ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ২০ হাজার ৬৪৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭২ জন, জিপিএ-এ গ্রেড ৫ হাজার ২১৬ জন, জিপিএ-এ (মাইনাস) ৪ হাজার ২৬৩ জন, জিপিএ-বি গ্রেড ৪ হাজার ৮১ জন, জিপিএ সি গ্রেড ৫ হাজার ৫২২ জন এবং জিপিএ-ডি গ্রেড পেয়েছে ১ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এসবি/আইএসএ/টিসি