চট্টগ্রাম: দ্বিতীয়বারের মতো জিপিও-৫ এর ভিত্তিতে সেরা অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। গতবছর পিছিয়ে থাকলেও এবার শতভাগ পাসের হারেও সেরা অবস্থানে রয়েছে বাওয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৩৩ অংশ নিয়ে পাস করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন।
অন্যদিকে গত বছরের মতো শতভাগ পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ডা.খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২১ জন। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৩২৩।
গতবছর ৩১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে নৌ বাহিনী উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও এবার এ প্রতিষ্ঠান চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কলেজিয়েট স্কুল। এ বিদ্যালয় থেকে ৩২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৩১৬ জন পিজিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে সবাই।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা নৌ বাহিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬৬২ জন। পিজিএ-৫ পেয়েছে ৩০০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
অন্যান্য বছর পাঁচটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে সেরা ২০ প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করলেও ২০১৫ সাল থেকে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করছে না শিক্ষাবোর্ড। এ বিষয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করলে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা হয়। তাই মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে গত বছর থেকে এ তালিকা হচ্ছে না। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার ভিত্তিতে ৫০ প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা করা হয়েছে।
সেবা অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বাওয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চেষ্টা করি সব ছাত্রী যাতে ভাল করতে পারে। সেজন্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্রীদের জন্য আলাদা ক্লাস ও পরীক্ষার নিয়ে থাকি। পরীক্ষায় ভাল করতে তাদের উৎসাহিত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, শিক্ষকদের পরিশ্রমের কারণেই ফলাফল ভাল করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষায় যেসব ছাত্রী পিছিয়ে থাকতো তাদের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া হতো। তাদের ফলাফল ভাল করতে শিক্ষকরা পরিশ্রম করতেন।
ব্যক্তিগত মূল্যায়ন নয়, সামগ্রিক উন্নয়নে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ছাত্রীদের বুঝিয়েছি সবাই মিলেই আমরা। তাই সবার রেজাল্ট ভাল করতে উদ্বুদ্ধ করি। ছাত্রীদের যে কোন সমস্যা শিক্ষকরা আগ্রহের সঙ্গে সমাধান করেন।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে সানজিদা সাজ্জাদ অরিন। বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার আগ্রহ তার। ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবার আগ্রহের কথা জানালো সে।
একই বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া তাসনিম সাফায়েত এর আগ্রহ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। অন্যদিকে বৈমানিক হতে চান তাবাসসুম বিনতে নেওয়াজ।
সেরা ৫০ স্কুলের মধ্যে ২৯০ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে নাছিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শতভাগ। এখান থেকে ৩৭৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে সবাই।
প্রথম ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকিগুলো হলো- সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় (২৮৫), চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (২২৮), চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (২০০), বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (২০০) ও অপর্ণা চরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৬)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এমইউ/টিসি