ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ মুজিব-শেখ হাসিনা হল

বাড়লো দ্বিগুণেরও বেশি আসন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
বাড়লো দ্বিগুণেরও বেশি আসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনা হল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধনের ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু করা হয়নি। ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে এখনো আসন বরাদ্দ দেওয়া যায়নি এসব হলে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধনের ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু করা হয়নি। ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে এখনো আসন বরাদ্দ দেওয়া যায়নি এসব হলে।

এর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে হল সম্প্রসারণের কথা। আগে দুটি হল মিলিয়ে আসন ছিল ৬৮৬টি।

  সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুটিতে বাড়িয়ে ১৫০০ আসন করা হচ্ছে।   অর্থাৎ দুটি হল মিলিয়ে মোট ৮১৪টি আসন বাড়ানো হচ্ছে।   ফলে আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আসন বাড়ছে হল দুটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার সময় ছাত্রীদের জন্য নির্মিত জননেত্রী শেখ হাসিনা হল ছিল চারতলা বিশিষ্ট, আসন সংখ্যা ছিল ৫০০। আর দুই তলা বিশিষ্ট ছেলেদের জন্য নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছিল ১৮৬টি আসন।

কিন্তু পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের কথা মাথায় রেখে ওই দুই হল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক দুই আবাসিক হলেই ছয়তলা বিশিষ্ট ও সাড়ে সাতশ করে মোট ১৫০০ আসন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন।

এর মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধু হলের বাকি কাজ শেষ করতে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো.আবু সাঈদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জননেত্রী শেখ হাসিনা হল ছয়তলা করা হচ্ছে। দুই হলেই সাড়ে সাতশ করে মোট ১৫০০ আসন থাকছে। এর মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের কাজ প্রায় শেষ হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কাজ আরও অনেক বাকি আছে। ’

তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে এবং হল দুটি চালু করা যাবে সে বিষয়ে এখনও কোনো কিছু জানাতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.কামরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই দুটি হলে সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে তবেই শিক্ষার্থীরা উঠতে পারবে। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না। ’

২০১৩ সালের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ হল দু’টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সে হিসেবে তিনবছর পার হয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি দুই হলের নির্মাণকাজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬

জেইউ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।