সোমবার (০২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এই আদেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলা দুটির বিচার কেন শিশু আদালতে হবে না আদালত তা জানতে চেয়েছিলেন পিপির কাছে।
রোববার পিপি আইয়ূব খান আদালতে জবাব দাখিল করে বলেন, ন্যাংটা ফকিরসহ দুজন খুনের মামলার নাবালক সাক্ষী মুন্নাকে (১২) বিচার কার্যক্রমে উপস্থাপন করা হবে না।
সোমবার পিপির মতামতের উপর শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
ন্যাংটা ফকিরসহ দুজন খুনের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ পরিদর্শক (বর্তমানে পিবিআই পরিদর্শক) সন্তোষ কুমার চাকমা।
হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার অভিযোগপত্রের প্রত্যেকটিতে মুন্নাকে ৭ নম্বর সাক্ষী করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মুন্নাকে দুটি মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। এসময় সাক্ষীর বয়সের বিষয়টি আদালতে দৃষ্টিগোচর হয়।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান বাংলানিউজকে বলেন, বয়স দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর আদালত মুন্নার সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। এই মামলা শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী কেন শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হবে না এই ব্যাপারে জবাব দেয়ার জন্য পিপিকে নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বাংলাবাজারে মাজারে ঢুকে ন্যাংটা ফকির ও আব্দুল কাদেরকে নৃশংসভাবে জবাই করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় এস আই নূরুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা এবং পুলিশ বাদি হয়ে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ৭ মার্চ নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এস আই সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে দুই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৩ জুন দুটি মামলায় সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ওই বছরের ১৪ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলার পর সেটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
আরডিজি/টিসি