ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুবার আগুন লাগার পরও ঘুমিয়ে সেন্ট্রাল প্লাজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৭
দুবার আগুন লাগার পরও ঘুমিয়ে সেন্ট্রাল প্লাজা অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নগরীর জিইসি মোড়ের সেন্ট্রাল প্লাজা শপিং মলটিতে অতীতে দুবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ১৬৬টি দোকানের এই মলে এখনও নেই ফায়ার সার্ভিসের কোনো ছাড়পত্র। নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সমাগম ঘটলেও মার্কেটের তিনটি সি‍ঁড়ির একটি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

তাই আগুন বা ভূমিকম্পের মত দুর্ঘটনা ঘটলে এই মার্কেটে অনেক জানমালের ক্ষতি হতে পারে বলে মত দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযোগ বিবেচনায় সেন্ট্রাল প্লাজা কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের মধ্যে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে নগরীর বিভিন্ন শপিংমল, বিপনীবিতান, কলকারখানা ও পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ও সাবরীনা রহমান। এসময় ফায়ার সার্ভিস ও নবম এপিবিএন’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই তামাকুমণ্ডি লেনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এখানে ১৪০টি মার্কেটে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান রয়েছে। এখানকার অধিকাংশ দোকান কাপড় ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের। মার্কেটের গলিগুলো সরু, মানুষের হাঁটার পথ নেই। কোথাও দখল করে নেওয়া হয়েছে রাস্তা, কোথাও অবৈধ দোকান বসানো হয়েছে। এমন রাস্তা রয়েছে যেখানে পাশাপাশি দুজন মানুষ হাঁটা যায় না। সেখানে কখনো আগুল লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করা সম্ভব নয়।

তারা আরও বলেন, তামাকুমণ্ডি লেনে বিদ্যুতের তারগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে পুরো মার্কেটের এলোমেলো হয়ে আছে। দুইতালায় আছে গোডাউন এবং তার ওপরের তালাগুলোতে আবাসিক বাসস্থান রয়েছে। রয়েছে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ভেতরে আগুন নেভানোর মত কোন পানির সোর্স নেই। মার্কেটে রাতের বেলা গেইটগুলো বন্ধ থাকে। তখন কোন দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষের বের হবার কোন সুযোগ নেই। আগুন লাগলে বা ভূমিকম্প হলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও জানমালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুই ম্যাজিস্ট্রেট তামাকুমণ্ডি বনিক সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনকে এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, খুব দ্রুত অগ্নি নির্বাপন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিষদ, চিটাগাং চেম্বার, ব্যবসায়িক মালিক সমিতিকে নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।