তিনি বলেন, ‘প্রায়শ বলতে শুনি নগরীর জনসংখ্যা ৬০ লাখ। আবার কেউ কেউ আমার সামনে বলেন ৬৫ থেকে ৭০ লাখ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের জলজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।
সিটি মেয়র বলেন, নগরীর স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা প্রণয়নে মাস্টারপ্ল্যান খসড়া ইতিমধ্যে ওয়াসা তৈরি করেছে। মাস্টারপ্ল্যানটা যদি করা যায়, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া নিয়ে করতে হবে। কিন্তু এটি যদি ২৮ লাখ মানুষ ধরে পরিকল্পনা করা হয় আর মানুষ যদি হয় ৬০ লাখ তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভেস্তে যাবে। তাই প্রথমে মানুষ কত তা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর সেখান থেকেই মাস্টারপ্ল্যানটি তৈরি করা উচিত।
নগরীর জনসংখ্যা ২৮ লাখ তা কোনোভাবেই বিশ্বাস হয় না মন্তব্য করে মেয়র আরও বলেন, ‘নগরীতে প্রায় ১৮ লাখ ১৪ হাজার ভোটার রয়েছে। কিন্তু সব মানুষ তো নগরীতে ভোটার হন না, অনেকেই গ্রামে ভোটার। অন্যদিকে নগরীতে প্রতিবছর চাপ বাড়ছে। এনজিও বলছে শুধুমাত্র ১২লাখই রয়েছে বস্তিবাসী। তাই মানুষ কত তা নির্ধারণে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তাহলেই মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবসম্মত হবে। ’
ইয়ং ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, চুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মো. চৌধুরী, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবির।
প্রধান আলোচক ছিলেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হজরত আলী ও চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
টিএইচ/টিসি