মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পটিয়ার ক্রসিং মোড়ে এসব কথা জানান পোনা বিক্রেতা জসীম। পটিয়া কলেজের পশ্চিমে শবদার পাড়া (চেয়ারম্যান বাড়ি) এলাকায় তার বাড়ি।
জসীম বলেন, পটিয়ার কেলিশহরে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকার ইজারায় একটি পুকুর নিয়েছি। কুমিল্লা থেকে মাছের রেনু কিনে এনে এ পুকুরে ফেলেছি।
পাশে থাকা একই এলাকার মোস্তাক নামের আরেক পোনা বিক্রেতা জানান, পুকুর ইজারার টাকা দিয়ে এক বছরে জনপ্রতি ১ লাখ টাকা থাকে। তবে পোনা সরবরাহের সময় পানির কারণে প্রাণ হারায়। তাই ডেকচিতে পানি ভর্তি করে পোনা সরবরাহ করতে হয়। দুই ডেকচিতে ৭/৮ কেজির বেশি পোনা নিয়ে গেলে বিক্রি করা সম্ভব হয় না। যদি বড় ড্রামে ভরে পোনাগুলো বিক্রি করা যেত তাহলে লাভ আরও বেশি করতে পারতাম।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুই মাছের পোনা। এছাড়া কুমিল্লা থেকে আনা পোনা যদি রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ধারিত পুকুরে ফেলা যেত, এরপর অন্যপুকুরে ফেললে লাভের হার দ্বিগুণ হতো। এক্ষেত্রে মাছের পোনার ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার কথাও জানান তিনি।
পোনার ডেকচি নেড়ে হাসিমুখে পটিয়ার সেয়ানপাড়া এলাকার শামসুল আলম জানান, মাছের পোনার ব্যবসায় যেমন লাভ আছে, তেমন খাটনিও আছে। রাতজেগে পুকুরে পোনার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। সঠিক সময়ে পুকুরে পোনার খাবার দিতে হয়। তা না হলে পোনার বৃদ্ধি কম হবে। বছরে দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ৩/৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ পোনা সরবরাহ করা হয় পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে। কুমিল্লা ও রাউজানের হালদা নদী থেকে রেনু এনে তারা পুকুরে ফেলেন। পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে মাছের পোনা করে বিক্রি করেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় পুকুর থেকে পোনা নিয়ে তারা বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি