নগরীর সিইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার কর্মী সফিউদ্দিন মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আসেন। দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি সিএমপি ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে এডিসি মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আত্মীয় হিসেবে সফিউদ্দিন নিয়মিত বাদির (বাবুল আক্তার) বাসায় যেতেন। হত্যাকান্ডের ১৫দিন আগে তিনি সর্বশেষ গিয়েছিলেন।
গত ৮ জানুয়ারি বাবুল আক্তারের আরেক খালাত ভাই মফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এডিসি কামরুজ্জামান।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বাবুল আক্তার, ২২ ডিসেম্বর শ্বশুর মোশাররফ হোসেন এবং ১ জানুয়ারি বাবুল আক্তারের মা-বাবাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত বছরের ৫ জুন ভোরে নগরীর ও আর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম ওরফে মিতু। এই ঘটনায় স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকান্ডের পর গত ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে রাজধানীতে তার শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে টানা ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মামলার বাদিকে আসামির মতো তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে দেশজুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে ইঙ্গিত করে খবর প্রকাশ হয়।
মিতু হত্যা মামলায় এই পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই মামলার দুজন আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। দুজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছে, মুছার নির্দেশে এবং তদারকিতে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হয়েছিলেন বাবুল আক্তার। হত্যাকান্ডের আগের দিন তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশ সুপার পদে যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। স্ত্রী হত্যার পর বাবুল আক্তার ঘটনা পরিক্রমায় চাকরিতে ইস্তফা দেন। বর্তমানে তিনি একটি হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি