রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-সিলেট নিয়ে পূর্বাঞ্চল, ঢাকা-ময়মনসিংহ নিয়ে নতুনভাবে গঠিত হবে উত্তরাঞ্চল, পাকশি ও লালমনিরহাট নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল এবং রাজবাড়ি ও খুলনা বিভাগ নিয়ে নতুনভাবে গঠিত হবে দক্ষিণাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর থাকবে চট্টগ্রামে, উত্তরাঞ্চলের ময়মনসিংহ, পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী এবং দক্ষিণাঞ্চলের সদরদফতর হবে ফরিদপুরে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে দুটি অঞ্চল চারটি বিভাগের মাধ্যমে ট্রেন পরিচালনা ও সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন দুটি অঞ্চল সৃষ্টি হলে বাড়বে চারটি বিভাগ।
জানা গেছে, চার অঞ্চল গঠনের বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর থেকেই আলোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য রেলভবনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমদিকে দুটি অঞ্চলকে ভেঙে চার অঞ্চল গঠন করলে রেলের অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি লোকসান বেড়ে যাবে বলে মতামত দেন রেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রত্যেক জেলাকে রেলের আওতায় আনার ঘোষণা দিলে বিষয়টি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রেলের প্রত্যেক বিভাগ থেকে মতামত নিয়ে চলতি মাসে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রস্তুত করে। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রেলমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দাখিল করেন।
দুটি অঞ্চলকে ভেঙে চার অঞ্চল গঠনের বিষয়ে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক কমল কৃষ্ণ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি অঞ্চলকে ভেঙে চারটি এবং চারটি বিভাগকে আট বিভাগে গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিয়েছি।
অঞ্চল ও বিভাগ বাড়ালে রেলের খরচ এবং জনবলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনবল ও খরচের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
রোববার স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক জেলাকে রেলের নেটওয়ার্কে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল। রেল মন্ত্রণালয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েকে চার অঞ্চলে বিভক্ত করার।
বিভক্তির জন্য জনবল কাঠামো এবং অন্যান্য যেসব বিষয় আছে সেগুলো নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এর আগে একটা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। রোববার জনবল কাঠামোর রিপোর্ট দিয়েছি। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মন্ত্রী মহোদয় অনুমোদন করলে জিও জারি হবে।
কমিটির অপর একজন সদস্য বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪০ হাজার জনবল রয়েছে। নতুন দুটি অঞ্চলের জন্য অতিরিক্ত আরও ১৫ হাজার জনবল নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ৎ
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নতুনভাবে দুটি সদর দফতর ও চারটি বিভাগীয় কার্যালয়ে অবকাঠামো এবং জনবল নিয়োগ করতে হবে। তবে বর্তমানে রেলের বিদ্যমান অবকাঠামোতেই কার্যালয় করা সম্ভব হবে। কেবল কিছু অতিরিক্ত স্থাপনা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমইউ/আইএসএ/টিসি