ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিরল প্রজাতির লক্ষ্মী পেঁচার প্রাণ বাঁচালেন মামুন

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
বিরল প্রজাতির লক্ষ্মী পেঁচার প্রাণ বাঁচালেন মামুন বিরল প্রজাতির লক্ষ্মী পেঁচার প্রাণ বাঁচালেন মামুন। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পেঁচাটির ডাগর ডাগর চোখ। সুন্দর গোলাকার মুখশ্রী। সাদা শরীরে বাদামি ছাপ। দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু নিরীহ পাখিটিকে নির্বিচারে মেরে ফেলতে উদ্যত কিছু পথশিশু। উদ্ধার করার তাগিদ অনুভব করলাম।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এভাবেই কথাগুলো বললেন হালিশহরের ক্যাডেট ক্যাম্পাস স্টাডি হোমের পরিচালক সাইমুন পাশা মামুন।

তিনি বলেন, আগের দিন শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজে যাওয়ার পথে হালিশহর নিউ এ ব্লকের ৪ সড়কের ৪ নম্বর লেনে পাখিটিকে পথশিশুরা ধরে পা বাঁধছে।

আমি দৌড়ে গেলাম। প্রথমে আইনের কথা বলে ভয় দেখালাম যাতে পা না বাঁধে।
এরপরও কাজ না হওয়াতে টাকা দেব বললাম। তারা রাজি হলো। তারপর পাখিটি বাসায় নিয়ে গেলাম। পাখিটিকে পানি, মাংস, বিস্কুট, পাউরুটি খেতে দিই। কিন্তু কিছুই খায়নি।

পেঁচা উদ্ধারের বিষয়টি হালিশহর থানাকে অবহিত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, থানা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যোগাযোগ করা হয়। তারপর সেটি চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসি।

দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আকুতি ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে।

চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে জানান, হালিশহর থেকে বিরল প্রজাতির একটি সাদা লক্ষ্মী পেঁচা আনা হয়েছে। সেটি সুস্থ আছে। ওজন প্রায় গ্রাম। বিরল প্রজাতির লক্ষ্মী পেঁচার প্রাণ বাঁচালেন মামুন

তিনি জানান, লক্ষ্মী পেঁচা ১৪-১৫ বছর বাঁচে। নিশাচর পাখি। সাধারণত পোকামাকড় খায়।   ইদানীং খাবারের সংকট, বাসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চিল, শকুন, অজগর, রাজধনেশসহ নানা বন্যপ্রাণীর মতো পেঁচাও লোকালয়ে চলে আসছে। বাসা-বাড়ির কার্নিশে বাসা বাঁধছে, দেয়ালে বসা টিকটিকি, পোকামাকড় খায়।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হুতুম, ভূতুম, লক্ষ্মী তিন ধরনের পেঁচা রয়েছে বাংলাদেশে। পেঁচা নিয়ে সমাজে নানা কুসংস্কার থাকায় নির্বিচারে মেরে ফেলা হচ্ছে। এসব পেঁচা উদ্ধার করে রাতের বেলা অবমুক্ত করে দেওয়া উচিত।

এ পেঁচাটিও সন্ধ্যায় চিড়িয়াখানার নিরাপদ গাছে অবমুক্ত করে দেব আমরা।

বর্তমানে বাঘ, সিংহ, উল্লুক, সাম্বার, মযূর, কুমিরসহ ৫১ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে বলে জানান ডা. শুভ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।