ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মহিউদ্দিনের নামে করার দাবি

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মহিউদ্দিনের নামে করার দাবি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

চট্টগ্রাম: চট্টলবীর খ্যাত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাবেক মেয়র, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মানপ্রদ আজীবন সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী হচ্ছে একটি সংগ্রামের নাম।

আমৃত্যু চট্টগ্রাম-চট্টগ্রামবাসীর জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি কর্মজীবী মানুষের পক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন।
দাবি আদায়ে তিনি ছিলেন আপসহীন। নিজ দলের সরকারের সময়েও সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তিনি রাজপথে নেমেছেন। তার জনবান্ধব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি।

পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় সভায় সাংবাদিক নেতারা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তারা বলেন, প্রেসক্লাব যতদিন থাকবে ততদিন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অস্তিত্ব জানান দেবে। প্রেসক্লাবের ক্রান্তিকালে তিনি ভবন নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন। চসিকে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমার বাবা কাজ করেছেন। আইনের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার পরও চসিককে একটি শক্ত ভিত দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জীবনে বিলাসিতা ও সুখকে বিসর্জন দিয়ে সারাজীবন শোষিত মানুষের কাতারে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে যত আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, প্রতিটির পেছনে মহিউদ্দিন ভাইয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল। তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন।

প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, একজন সফল নেতার যে গুণগুলো থাকা প্রয়োজন তার সবগুলোই মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অনেকেই মুজিবকোট পরতে সাহস না পেলেও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বেলায় ছিল ভিন্ন। চট্টগ্রামের সামগ্রিক স্বার্থে তিনি প্রয়োজনে দলীয় সিদ্ধান্তের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছেন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, আমাদের বাবা আজ আমাদের মাঝে নেই। তিনি চট্টগ্রামের সবাইকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন। তার ধ্যান-ধারণা ছিল শুধু চট্টগ্রামের উন্নয়ন।

বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদ উল আলম বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের রুটি-রুজির বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন।   

কলিম সরওয়ার বলেন, চট্টগ্রামের একমাত্র অভিভাবক মহিউদ্দিন চৌধুরী আরেকজন কখনো আসবেন না। চট্টগ্রাম তথা দেশের রাজনৈতিক সম্পদ মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তার পরবর্তী প্রজন্মকে।

সভায় বক্তব্য দেন ক্লাবের কার্যকরী সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও মোয়াজ্জেমুল হক, বিএফইউজের যুগ্মমহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সহসভাপতি সমীর কান্তি বড়ুয়া, সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক ও মোস্তাক আহমদ, সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল করিম কচি, দেবপ্রসাদ দাস দেবু প্রমুখ।  

মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিবেদিত কবিতা পড়েন সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও ছড়া পড়েন ক্লাবের স্থায়ী সদস্য নুর মোহাম্মদ রফিক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।