চট্টগ্রাম: দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর নগরায়নের চাপে থাকা চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে উপহার দিতে চান বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) চিটাগাং পুলিশ ইনস্টিটিউশনের সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়নের চাপ সামলানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সুপরিকল্পনার অভাবে চট্টগ্রামের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও চট্টগ্রাম এখন জলাবদ্ধতা, বর্জ্য আর যানজটে ভুগছে।
জনগণের খেদমত করতে এখানে এসেছি। আমি আগেও বলেছি আমি কোনো নগর পিতা নই; নগরের সেবক হয়ে কাজ করতে এসেছি। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কোনো জনদুর্ভোগ দেখলে; সেটা রাস্তা হোক, ময়লা হোক, ডাস্টবিন হোক, মশা হোক বা অন্য কিছু হোক আপনার আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমি মনিটরিংয়ের মধ্যে আছি এবং সেটা সবসময় থাকব। ইনশাআল্লাহ আমি আশা করছি জনগণকে নিয়ে আমি একটি ক্লিন, গ্রিন, হেলদি চট্টগ্রাম সিটি উপহার দেব।
সুস্থ বিনোদনের সুযোগ বাড়াতে কাজ চলছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি চসিকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছি নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন সুবিধা বাড়াতে। এছাড়া রেলওয়ে, গণপূর্তসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথেও ভূমি বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করেছি। আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, জিয়া শিশুপার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি বিপ্লব উদ্যানে একটা স্ট্রাকচার করা হচ্ছিল সেটি ভেঙে গ্রিন পার্ক করার উদ্যেগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকার নিয়েও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ গড়ে ওঠার কারণে অসচ্ছল ঘরের ছেলেরা খেলতে পারছে না। এ কারণে আমার ইচ্ছা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নিশ্চিত করা। শিশুদের খেলার মাঠে ফেরাতে পারলে মাদক সমস্যা, কিশোর গ্যাং কমে আসবে। আমার ইচ্ছা ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক গড়ে তুলব। খেলার মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা শিশুদের শরীরচর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, সাবেক শিক্ষক ফরিদ আহমেদ, নুর মোহাম্মদ, মো. শামসুল আলম, উম্মে হাবীবা, সামসুন নাহার, সাধন চন্দ্র মহাজন, আবদুল হান্নান মিরন, আয়োজক ৯৯ ব্যাচের ছাত্র বখতেয়ার হোসেন, নুরু হোসেন নুরু, কামরুল হাসান সাগর, মারুফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল হাসান, কামরুল হাসান সোহাগ, মমতাজ আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি