নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে (টিআইসি) নাট্যমেলার উদ্বোধন করেন কবি, সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত। অতিথি ছিলেন চট্টগ্র্রামের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী এবং নাট্য নির্দেশক ও গবেষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
টিআইসি’র লেকচার থিয়েটার বিকেলে অভিনয় শীর্ষক লেকচার উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক, গবেষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
এরপর টিআইসির মুক্তমঞ্চে আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র এবং নৃত্য পরিবেশন করেন প্রমা অবন্তির পরিচালনায় ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টারের শিল্পীবৃন্দ।
তির্যক বাংলা নাটকের অন্যতম পুরোধা মাইকেল মধূসুদন দত্তকে স্বরণ করেছে তার উজ্জ্বল কীর্তির জন্য। জোতদার ভক্তপ্রসাদ সম্পদের পাহাড় গড়েছে রায়তদের শোষক করে। লাম্পট্য, কৃপণতা ইত্যাদি বদদোষ থাকার সত্ত্বেও অর্থের জোরে সে হয় সমাজপতি। গরীব চাষী হানিফের ফসলহানি হয় অজন্মায়, দরিদ্র ব্রাহ্মণ বাচস্পতি’র সম্বল একখানি জমি গ্রাস করতে বা খাজনা রেয়াতে এতটুকুও দ্বিধা করে না জমিদার ভক্তবাবু। অথচ ওপরে দেব-দ্বিজে প্রগাঢ় ভক্তি দেখায়। বাইরে ভক্তপ্রসাদ গোড়া বৈষ্ণব কিন্তু নারী লোলুপতায় তার বাছবিচার নাই। ধর্মে মুসলমান, ভক্তপ্রসাদের ভাষায় ম্লেচ্ছ, হানিফের স্ত্রী ফাতেমাকে ভোগ করতে সে পিছপা হয় না। এ হেন নরাধম ভাক্তপ্রসাকেও জব্দ করা যায়। কিভাবে? প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়েছেন অমর নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘বুড়ো সালিকের ঘারে রোঁ’ প্রহসনে।
চারদিনব্যাপী নাট্যমেলায় এই নাটক ছাড়াও তির্যক পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’, সফোক্লিসের প্রাচীন গ্রীক ট্র্যাজেডি ‘ইডিপাস’ এবং সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ‘তরঙ্গভঙ্গ’। পরিবেশিত হওয়া এ চারটি নাটকের নির্দেশনায় ছিলেন নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এসবি/টিসি