ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রীমার সেই ‘মৃত্যুকূপ’ ভরাট হলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
রীমার সেই ‘মৃত্যুকূপ’ ভরাট হলো ভরাট করা হয়েছে রীমার সেই মৃত্যুকূপ

চট্টগ্রাম: অবশেষে ভরাট হলো রীমা কনভেনশন সেন্টারের সেই ‘মৃত্যুকূপ’। যে কূপে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, রীমার যে ফটকে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে সেখানে আরসিসি ঢালাইয়ের ওপর পানি দিচ্ছেন একজন শ্রমিক। পাশে দাঁড়িয়ে কাজ তদারকি করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. আবদুল মান্নান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৌশলীর নতুন নকশা অনুযায়ী আমরা ফটকের নিচে যে ঢালু পথটি ছিল সেটি প্রায় দেড়-দুই ফুট উঁচু করে দিয়েছি। এর পাশে দুই ফুট উঁচু ইটের দেয়াল দেওয়া হবে।

সেখানে থাকবে স্টিলের বেড়া।

মৃত্যুকূপ ভরাটের নকশা

আবদুল মান্নান জানান, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে ১৬ জন নির্মাণশ্রমিক ঢালু পথটি ভরাটের মাধ্যমে উঁচু করার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। এখনো অনেক কাজ বাকি। সব শেষ করতে চার-পাঁচ দিন লাগবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুলভ মূল্যে আমাদের কনভেনশন সেন্টার ভাড়া দেওয়ায় অনুষ্ঠান আয়োজকদের কাছে চাহিদা বেশি। ইতিমধ্যে অনেক বুকিং বাতিল করেছি আমরা।  

ট্র্যাজেডির দিন আয়োজকদের পক্ষে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মৃত্যুকূপ ভরাটের কাজ করার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। প্রকৌশলীদের নকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে যাতে আগামী দিনে কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেন না থাকে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৫ লাখ, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার, হিন্দু ফাউন্ডেশন থেকে ১০ হাজার, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ থেকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আশাকরছি, রীমা কনভেনশন সেন্টারের মালিকপক্ষ থেকেও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

রীমা কনভেনশন সেন্টারের মালিক মো. সাহাবউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রীমা অনেক পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। ৩০-৩৫ বছর তো হবেই। কয়েক বছর আগে আমরা এটির সংস্কারকাজ করি। প্রায়ই এখানে বিয়েশাদি, মেজবান হয়। কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটেনি। সেদিন মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যা দুঃখজনক।

তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, রীমাতে দুটি ফটক আছে। একটি মানুষের চলাচলের জন্য। অন্যটি গাড়ি পার্কিং স্পেসে ঢোকার জন্য। দুর্ঘটনার দিন গাড়ি ঢোকানোর ফটক দিয়ে মানুষ ঢোকানো হয়েছে। যা ছিল ঢালু। এখন আমরা সেটি ওভারকাম করতে প্রকৌশলীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।

পদদলনে নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ৫ লাখ টাকা    

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।