চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত ‘কথা ও কবিতায় অজয় দাশগুপ্ত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক ও ছড়াসাহিত্যিক অজয় দাশগুপ্ত এসব কথা বলেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উঠে আসে অতিথিসহ উপস্থিত বন্ধুদের কান্না-হাসির চালচিত্র, শৈশব কৈশোরের যাপিত জীবনের অম্লমধুর চিত্র-ছবি, লেখালেখির সূত্রপাত কাহিনি, ‘ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে’ প্রথম কিশোরকবিতার ম্যাগাজিন প্রকাশ আন্দোলনের ইতিবৃত্ত, হাস্যরস, আবেগঘন স্মৃতিকথার ফুলঝুরি।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ঐতিহ্য ধারণ করে সমকালের মেলবন্ধনে ভবিষ্যৎ নির্মাণে সচেষ্ট হতে হবে। নতুন ভাবনা নতুন সৃষ্টিকর্ম নিয়ে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। তাই না দেখা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখার চেয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে আত্মস্থ করে নতুন আলোর প্রক্ষেপণে সৃষ্টিসম্ভার পরিপূর্ণ করতে হবে। তার জন্য চাই আলাদা পর্যবেক্ষণ, প্রচুর পাঠ, গভীর মনোনিবেশ এবং শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি। সাধনাবিহীন কোনো কিছুই সম্ভব নয়।
কথামালায় অংশ নেন কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কবি ওমর কায়সার, নাট্যজন অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া, প্রাবন্ধিক রাফায়েত ইবনে আমিন।
কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমু। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিশুসাহিতিক অরুণ শীল।
শুভেচ্ছা জানান একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর মিঞা, লেখক মুহাম্মদ নোমান লিটন, নারীনেত্রী সৈয়দা রিফাত আক্তার নিশু, কবি রহমান হাবীব, শিক্ষাবিদ অজিত কুমার আইচ, শিশুসাহিত্যিক আবুল কালাম বেলাল, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এআর/টিসি