বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আবু সামাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা।
ধর্ষণের ঘটনায় পিবিআই এ পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আবু সামা রাজি হলে তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হবে। রাজি না হলে রিমান্ড চাওয়া হবে।
তিনি জানান, আবু সামাই ঘটনার মূল হোতা। সামা এবং মিজানের তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সিএমপির ব্যর্থতা স্বীকারের মধ্যে মঙ্গলবার থেকে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআই। তদন্তে নেমেই পিবিআই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।
এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী। তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
তবে কর্ণফুলী থানার গ্রেফতার করা তিনজনের কারো নাম মিজান মাতব্বরের জবানবন্দিতে আসেনি বলে জানিয়েছে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি