বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তূদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ এবং তাদের পরিচয়পত্র তৈরিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সড়ক ও অবকাঠামো, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক, সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং ভোটার তালিকা ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিতেও সেনাবাহিনী দক্ষতা দেখিয়েছে।
তিনবছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এদেশের সন্তান। জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সুনাম আরও এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে-এটিই আমার প্রত্যাশা।
সেনাবাহিনীর ৭৫তম বিএম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্যারেড পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের অধিনায়ক লে.জনারেল আব্দুল আজিজ এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো.সাইফুল আলম।
নৌবাহিনীর একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এসেছিলেন। ওইদিন বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি