বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে রয়েছে আমাদের সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন। আমার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
‘ছোট ভাই রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে।
জাতির জনকের প্রতিরক্ষা নীতির অনুসরণে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯ বছরে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।
‘আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবকাঠামোগত, কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে এক দশক আগেকার সেনাবাহিনীর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের সমন্বয়ে আজকের সেনাবাহিনী অনেক বেশি উন্নত, দক্ষ এবং চৌকস। ’ বলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনবছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এদেশের সন্তান। জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তোমাদের সকলকেই সাধারণ মানুষের হাসিকান্না, সুখদু:খের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সুনাম আরও এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে-এটিই আমার প্রত্যাশা।
সেনাবাহিনীর ৭৫তম বিএম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্যারেড পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের অধিনায়ক লে.জনারেল আব্দুল আজিজ এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো.সাইফুল আলম।
নৌবাহিনীর একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এসেছিলেন। ওইদিন বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি