বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো.নোমানের আদালতে আবু সামা জবানবন্দি দিয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় আবু সামা নিজেসহ মোট ছয়জনের তথ্য দিয়েছে।
‘আবু সামা জবানবন্দিতে জানিয়েছে, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী স্থানীয় একজন আছেন। তিনিই পাঁচজনকে ডাকাতির জন্য একত্রিত করেছিলেন। তবে ঘটনার সময় তিনি আসবেন, আসবেন করে আর আসেননি। চারজন ঘরের ভেতরে ঢুকেছিল। আবু সামা বাইরে ছিল। ভেতরে ধর্ষণের ঘটনা সে বাইরে থাকায় জানতে পারেনি। তবে ডাকাতি করা মালামাল বিক্রি করে আবু সামা ২১ হাজার টাকা পেয়েছে বলে জানিয়েছে। ’ বলেন এডিসি নির্মলেন্দু
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, জবানবন্দি গ্রহণের পর আবু সামাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ধর্ষণের ঘটনায় পিবিআই এ পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে মিজান মাতব্বর (৪৫) নামে একজনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পিবিআই। মিজান ওই মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সিএমপির ব্যর্থতা স্বীকারের মধ্যে মঙ্গলবার থেকে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআই। তদন্তে নেমেই পিবিআই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।
এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী। তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
তবে কর্ণফুলী থানার গ্রেফতার করা তিনজনের কারো নাম মিজান মাতব্বরের জবানবন্দিতে আসেনি বলে জানিয়েছে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি