তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু, সহযোদ্ধা চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
‘আমি পারিনি বন্ধু মহিউদ্দিনের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে। পারিনি শেষবার দেখতে। সে অসুস্থ হওয়ার কদিন আগে নগরীর চশমা হিলের বাসায় যাই আমি। তার সেই শোবার ঘরে আর বইঠক খানায় তার সাথে চট্টলায় আমার শেষ কথা। ’
‘আমি সিঙ্গাপুর থেকে এসে এখনও শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে কোথাও যেতে পারছি না। পারি নি একবার বন্ধু মহিউদ্দিনের কবরের কাছে যেতে। নিজেকে বুঝাতে পারছি না। হয়তো মনের ভিতরটাকে বুঝাতে পারব না। আল্লাহর রহমতে আমি সুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম যাব। তখন চশমা হিলে কবরের মাটির উপরটা দেখবো। তখন আর দেখব না সেই মেহেনতি মানুষের নেতা, আমার প্রিয় বন্ধুকে। আর আমাকে কেউ হুজুর আইয়ুন (হুজুর আসেন) বলবে না তার চট্টগ্রামের চশমা হিলের বাসায়। ’
শেষের দিকে মঈনউদ্দিন খান বাদল আরও বলেন, ‘আমি হয়তো মনের অগোচরে বলবো আই আইলাম হুজুর তোয়ার কবরের কাছে। এমন নেতা হারালো চট্রগ্রাম; যা অপুরণীয় ক্ষতি হল বীর চট্টলার এবং স্বাধীন বাংলাদেশের। বাংলাদেশের মানচিত্রে বীর চট্টগ্রাম যতদিন থাকবে, মানুষ ততদিন ভুলবে না সেই চট্টলার সফল বীরকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসবি/টিসি