এর প্রেক্ষিতে দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শনে এসে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উৎকোচ চায়, তাদের আমরা মনিটরিং করবো। তাদের চিহ্নিত করে সম্পদ বিবরণী চাইবো।
চট্টগ্রাম প্রতিদিন
পরিদর্শনে গিয়ে ঘুষ চান কর্মকর্তারা, অভিযোগ শিক্ষকদের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা উৎকোচ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদকে তারা সরাসরি এই অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের আয়োজনে 'মাধ্যমিক পর্যায়ে দুর্নীতিমুক্ত ও মানসম্মত শিক্ষা' নিয়ে এক কর্মশালায় এই অভিযোগ এসেছে।
কর্মশালার শুরুতেই উপস্থিত একজন প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যখন এখানে পরিদর্শনে আসেন অনেক সময় তারা উৎকোচ খুঁজেন।
উৎকোচ চাইলেই সাথে সাথে ধরিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেন দুদক কমিশনার।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক স্তরে কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সমস্যার সূত্র ধরেই দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যক্রম শুরু করা হবে। আমরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাবো, সেখানে দুর্নীতি পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অবকাঠামোসংকট রয়েছে, সেই সংকট নিরসনে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবো।
পাশাপাশি স্কুলে মনিটরিং আরও জোরদার করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের পরিচালক (প্রতিরোধ) মো. মনিরুজ্জামান, দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. আক্তার হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা হোসনে আরা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পোগ্রামার মামুনুর রহমান।
কর্মশালায় শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের নিয়ে ১৩ জন করে একটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। ৬টি গ্রুপের প্রধানেরা স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধিকতাসহ বেশ কিছু সুপারিশ ও পরামর্শ তুলে ধরেন দুদক কমিশনারকে।
এরমধ্যে স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, ম্যানেজিং কমিটির সক্রিয়তার অভাব, শিক্ষকদের কোচিং প্রবণতা, কোচিং বন্ধে প্রয়োজনের মোবাইলকোর্ট পরিচালনা, মানসম্মত শিক্ষক সংকট, অবকাঠামো সংকট, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব, অভিভাবকদের সচেতনার অভাব, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার অভাব, ম্যানেজিং কমিটিতে অনভিজ্ঞ ও অশিক্ষিত সদস্য, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণসহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে উঠে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।