বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিস্তার আর্টস কমপ্লেক্স আয়োজিত তিন দিনব্যাপী শিল্পোৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি একটি জাতীর দর্পন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। দেশের অর্থনীতিতে যে প্রাণচাঞ্চল্যে চট্টগ্রামের বিরাট ভূমিকা আছে। সে জন্য চট্টগ্রাম সব বিষয়ে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দাবি রাখে। আমরা জানি, চট্টগ্রামে সংস্কৃতি চর্চায় অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে, অনেক সংকট রয়েছে। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য খুব ভালো অডিটোরিয়াম নেই। আপনারা শুনে আনন্দিত হবেন কয়েক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউটে ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে একাধিক অডিটোরিয়াম হবে। সেটি হলে সাংস্কৃতিক আয়োজনের সংকট থাকবে না।
বিস্তারের উপদেষ্টা চিত্র সমালোচক অধ্যাপক আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ নৃত্যজন লুবনা মরিয়ম। স্বাগত বক্তব্য দেন বিস্তারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবি আলম খোরশেদ।
আবুল মনসুর বলেন, পুরো বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০ বছর আগেও এমন সংকটাপন্ন চেহারা আমরা দেখিনি। যুদ্ধ, বর্ণবাদ, নারী বিদ্বেষ, মিথ্যাচার আতঙ্কের জায়গায় পরিণত করেছে। ধর্মীয় উগ্রতা, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ দেশকে আস্তে আস্তে গ্রাস করছে। তাই ভীতিমুক্ত নই আমরা। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মনন চর্চা ছাড়া এ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
উৎসব মঞ্চে সিলেটের জহর কুমার সিংহের একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী, ঢাকার রনি আহমেদ ও সুমন আহমেদের দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন লুবনা মরিয়ম।
উদ্বোধনের পর মঞ্চে অনন্য বড়ুয়ার পরিচালনায় প্রাপণ একাডেমির একঝাঁক খুদে শিল্পী পরিবেশন করে নৃত্য। ছিল সঞ্জীব দত্তের সেতার বাদন, একক ও দলীয় মূকাভিনয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের ছাত্রীদের পরিবেশনায় বিদেশি সংগীতানুষ্ঠান, শুভ্রা বিশ্বাসের একক অভিনয় ‘রাক্ষুসী’ আর শিমুল শীলের পরিবেশনায় কবিয়াল রমেশ শীলের গান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এআর/টিসি