বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে দ্রুত সার খালাসের লক্ষ্যে লাইটার জাহাজের সুষ্ঠু ব্যবহার ও লাইটার সরবরাহ বাড়াতে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।
সভায় লাইটার সংকট দুর করতে দশটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সদরঘাটে নির্মিত পাঁচটি লাইটার জেটি চালু, আগস্টের মধ্যে পতেঙ্গায় ৩টি লাইটার জেটি নির্মাণ, লাইটার জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ঘাটে ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে সার খালাস ব্যবস্থা তদারকি, ঘাটে পণ্য খালাসে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু, নতুন লাইটার জাহাজ ব্যবহারের আওতায় আনা।
সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেন, পণ্য আমদানি বেড়ে গেছে। ফলে লাইটার জাহাজের সংকট তৈরি হয়েছে। লাইটার জাহাজ পরিচালনায় যে অবনতি তাতে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, জাহাজগুলো গুদাম হিসেবে ব্যবহারের কারণে সমস্যা বেড়েছে। লাইটার জাহাজ থেকে দ্রুত পণ্য খালাস হলে এ সমস্যা হতো না।
এফবিসিসিআই প্রতিনিধি মাহফুজুল হক শাহ সংকট মোকাবেলায় লাইটার আমদানিতে সাময়িকভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বহির্নোঙরে জাহাজের গড় অবস্থান ১৯ দিন জানিয়ে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরর্স অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম শামসুজ্জামান বলেন, পুরো সক্ষমতা কাজে লাগানো গেলে গড় অবস্থান সময় দুই-তিন দিনে নামানো যাবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বন্দর সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর জুলফিকার আজিজ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নাহিদা ফরিদী, বিএডিসি চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালক একে সামশুদ্দিন, বিসিআইসি’র জেনারেল ম্যানেজার (সার ব্যবস্থাপনা) মো. মনজুর রেজা, চেম্বার প্রতিনিধি অঞ্জন শেখর দাশ, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি মাহবুব চৌধুরী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আখতার হোসেন, ডব্লিউটিসি’র কো কনভেনর নুরুল হক, লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতির সভাপতি হাজী শফিক আহমদ, বন্দর ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার এনামুল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এমইউ/টিসি