দুই পাড়জুড়ে মুগ্ধতা ছড়ানো এই নদীকে কেন্দ্র করেই চট্টগ্রাম বন্দরসহ হাজারো স্থাপনা গড়ে ওঠেছে।
নদীতে পলি জমে ব্যাপক হারে। নিয়মিত ড্রেজিং করে এর নাব্যতা রক্ষা ব্যাপক ব্যয়সাধ্য কর্ম। নদীর নাব্যতার উপরই নির্ভর করে সারা দেশের প্রাণ ভোমরা চট্টগ্রাম বন্দরের অস্থিত্ব।
কিন্তু ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জনগণের ব্যাপক আন্দোলনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ঝুলন্ত সেতুর পরিবর্তে তৈরি করা হয় কংক্রিটের সেতু। সে দিন আন্দোলন ব্যর্থ হলেও আজ চট্টগ্রামের মানুষ হারে হারে বুঝতে পারছে কেন ঝুলন্ত সেতু প্রয়োজন ছিলো।
একদিকে কংক্রিট পিলারের কারণে পলি জমে নদী অর্ধেক ভরাট হয়ে গেছে । তার উপর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে এই নদী।
ড্রেজিং করা মাঠিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ হাজারো ঘর-বাড়ি আর অট্টালিকা। ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন ছিন্নমূল, বাস্তুহারা সমিতির নাম দিয়ে নদী দখল করে মাসোহারা দিয়ে গড়ে তুলছে ছোট বড় স্থাপনা।
নদীতে জমা পলির কারণে এর শাখা খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। পলি জমে থাকার কারণে বর্ষায় নগরী থেকে বের হতে পারে না বৃষ্টির পানি। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই নগরী রূপ নেয় ‘জলাবদ্ধ চট্টগ্রামে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এমএ/