ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাধীনের পর বড় সাফল্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৮
স্বাধীনের পর বড় সাফল্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বক্তব্য দেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ

চট্টগ্রাম: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন মন্তব্য করে কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেছেন, এ অর্জনে অসামান্য ভূমিকা রয়েছে দেশের কৃষিবিদ, গবেষক এবং গণমাধ্যমের।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ (ওরিয়েন্টেশন) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানে ‘সমারম্ভ বক্তা’ ছিলেন তিনি।

 

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম নুরুল আবছার খান, ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো. রায়হান ফারুক, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর এমএ হালিম, প্রক্টর প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ। স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মাসুদুজ্জামান।

শাইখ সিরাজ নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, খাঁটি মানুষ হওয়ার জন্য তোমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে; যাতে তোমাদের দিয়ে সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হয়।

তিনি বলেন, তোমরা কোন বিষয়ের শিক্ষার্থী সেটা প্রধান বিবেচ্য নয়। আসল কথা হলো সবাইকে মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকতে হবে। আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজন সততা, নিষ্ঠা এবং কাজের প্রতি ভালোবাসা।

নবীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার দেখা মতে সিভাসুতে শতভাগ ব্যবহারিক ক্লাস এবং জ্ঞান অর্জনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অনেক বেশি আনন্দের হবে। তোমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে এ প্রতিষ্ঠান সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতায় তোমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তোমাদের হাত ধরে দেশের কৃষিতে আসবে ব্যাপক অগ্রগতি।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চা ও সৃষ্টির জায়গা। আর এর জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা এবং নিরলস প্রচেষ্টা। আমরা এখানে একটা শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। নতুনদের এটা ধরে রাখতে হবে। নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গবেষণামূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করে জ্ঞানের জগৎকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।

‍বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।