মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে সুমিকে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে দিয়েছেন আইনজীবীরা।
সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এএসআই খালেদা নাসরিন বাংলানিউজকে বলেন, ডিবির সোর্স হিসেবে ভিজিটিং কার্ড বানিয়েছে সুমি, যেটা সম্পূর্ণ অন্যায়।
সুত্রমতে, হাজতখানার সামনে এক আদালতে হাজিরা দিতে আনা এক আসামিকে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে তার স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা নেন সুমি। এভাবে আরো কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়ার সময় কয়েকজন আইনজীবী তাকে ধরে ফেলেন।
এছাড়া সুমির বিরুদ্ধে আদালত পাড়ায় বিভিন্ন দোকান-হোটেলে গিয়ে ডিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, আদালত থেকে টাউট-প্রতারক উচ্ছেদে আমাদের অভিযান চলমান আছে। আটক নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এ এ এম হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, ডিবির সোর্স এই পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড বানানোর কোন সুযোগ নেই। ডিবির নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যায় কাজে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। শীঘ্রই আমরাও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান করব।
সুমির কাছ থেকে উদ্ধার করা ভিজিটিং কার্ডে সে নিজেকে লালখান বাজার পুলিশ ও ডিবি সোর্স হিসেবে উল্লেখ করেছে। তার বাবা মরহুম আমির হোসেন সওদাগর এবং মা আছমা বেগমের নামও ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
আরডিজি/টিসি