স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মহিউদ্দিনের মৃত্যুতে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে চট্টগ্রামের সংবাদপত্র শিল্পের। তার মতো চট্টগ্রামের দাবি-দাওয়া আর কেউ তুলে ধরতে পারতেন না।
তিনি বলেন, ১৭ বছরের মেয়র থাকাকালে পৌর কর বাড়াননি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এ সভার আয়োজন করে। গত ১৫ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন চৌধুরী চিরবিদায় নেন।
সভায় 'সাংবাদিক-বান্ধব' মহিউদ্দিন চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ।
বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদ উল আলমের সভাপতিত্বে সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শহীদ উল আলম বলেন, পানি যেমন ফাঁক করা যায় না তেমনি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে চট্টগ্রাম থেকে পৃথক করা যাবে না। তিনি সাংবাদিকদের পরম সুহৃদ ছিলেন। সাংবাদিকদের আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সহায়তা করে ছিলেন।
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিনিয়র সাংবাদিক মোয়াজ্জেমুল হক, এম নাসিরুল হক, সমীর বড়ুয়া, মোস্তাক আহমেদ, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক স্বরূপ ভট্টাচার্য, ফারমিক গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. আহমেদ রবিন প্রমুখ।
সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে লেখা কবিতা পড়েন নাজিমুদ্দিন শ্যামল। কবিতাটি তুলে দেওয়া হয় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হাতে। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এআর/টিসি