চট্টগ্রাম: রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে দিনরাত পরিশ্রম করেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নবগঠিত কমিটির প্রথম সভায় এ কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র বলেন, রেড ক্রিসেন্টের সাথে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলাম।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস কিংবা অন্য যেকোনো দুর্যোগে তাঁদের ভূমিকা অতুলনীয়। তাঁদের স্বেচ্ছাসেবীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে দিনরাত পরিশ্রম করে। শুধু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নয়, তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা, ত্রাণ বিতরণ এবং সচেতনতা কার্যক্রমও অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে হলে কেবল সেবার মনোভাব থাকলেই যথেষ্ট নয়; এর সঙ্গে প্রয়োজন সাহস, সততা এবং দক্ষতা। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা সেই গুণাবলির চমৎকার উদাহরণ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তাঁদের কার্যক্রমে সবসময় সহযোগিতা করবে।
নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনাদের ওপর একটি গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আশা করি, আপনারা প্রত্যেকে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম আরও সুসংহত করবেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আমাদের। একে আরও শক্তিশালী করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। একত্রে কাজ করলে আমরা দুর্যোগের ক্ষতি কমিয়ে এনে একটি সুরক্ষিত ও সহমর্মিতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এমএ সালাম, সেক্রেটারি গোলাম বাকি মাসুদ, সদস্য ডা. রাকিব উল্লাহ, এইচএম সালাহউদ্দিন, নিজাম উল আলম খান, মো. মেহেদী হাসান রায়হান, মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সালাহ উদ্দিন সাহেদ, আবু ইউসুফ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মোহাম্মাদ এনামুল হক, যুব প্রধান আ ন ম তামজীদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি