কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে না আসবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আগামী নির্বাচনে এ অপশক্তিকে আমরা শুধু নির্বাচনে মোকাবেলা করব না, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ মিনার চত্বরে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা দিবসে আনন্দ সম্মিলন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার নওফেল বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক অপশক্তি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। তারা বিশ্বব্যাপী যেমনি পরাজিত হয়েছে, বাংলাদেশেও পরাজিত হয়েছে। মিথ্যা রাজনীতির মাধ্যমে যে রাজাকার আলবদর শক্তির সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল তারা পরাজিত হয়েছে। তারা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার জন্য, আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য অনেক চেষ্টা করছে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হতে না পারার জন্য একটি রাজনৈতিক দল সক্রিয় ছিল। ওই দলটি বন্দুকের নলের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। গণতন্ত্রের প্রতি তারা বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করেছিল। দলটি কখনো গণতান্ত্রিক দল হিসেবে দাবি করতে পারে না, গণতান্ত্রিক আচরণ দলটির কাছ থেকে কখনো প্রত্যাশা করতে পারিনি।
দলটির প্রতিষ্ঠাতার সমালোচনা করে মেয়র নাছির বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন এটি আমরা স্বীকার করি। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন কিনা সেটির চেয়ে বড় কথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন কিনা। এ মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেননি। উনি বন্দুকের নলের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হয়ে রাতের অন্ধকারে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে একনায়ক সরকার কায়েম করেছিলেন, রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি, দলটি কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হতে পারে না। তারা জঙ্গিবাদের বীজ রোপণ করেছিল। দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, গণতন্ত্রের ডেফিনেশন বুঝতে না পেরে বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে উপহাস করে। ইতিহাস প্রমাণ করেছে খালেদা জিয়ার জন্য গণতন্ত্র বসে নেই। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি ও তার দল জ্বালাও-পোড়াও করে, জানমালের ক্ষতি করে তবে রাজনীতি থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিতে হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রশীদ, উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, নির্বাহী সদস্য এমএ জাফর, থানা আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ ইয়াকুব। উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, অর্থ সম্পাদক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, মোহাম্মদ হোসেন, জহুর আহমদ, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শহীদ মিনার থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে দারুল ফজল মার্কেট, নিউ মার্কেট, পুরোনো রেলস্টেশন ঘুরে আবার দারুল ফজল মার্কেটে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এআর/টিসি